প্রকাশিত:
গতকাল

চাহিদা পত্রের বিপরীতে ইতিমধ্যে ৫৩১ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। এই ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩ শত ৮৪ মেট্রিকটন কাগজ সরবরাহ করা হবে বলে জানান কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিল থেকে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে। ডিসেম্বর এর মধ্যে এই কাগজ সরবরাহ এর জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহভাগ কাগজ সরবরাহ করেছি। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করবো।
‘তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন। যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়।’
তিনি জানান, আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধুমাত্র একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত কেপিএম একটি রাষ্ট্রায়িত কাগজ ও মণ্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাগজকলগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ১৯৫০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি দেশের প্রথম শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যা কারখানা আইনের আওতায় নিবন্ধিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরশন (বিসিআইসি)-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।