তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে সারা বাংলাদেশে যে নারী নির্যাতন হচ্ছে বা অতীতে হয়েছে তার কোনো কার্যকর প্রতিবাদ এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। কিছু কিছু আইনপ্রণয়ন হয়, কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে আইন কঠিন হলে সঠিকভাবে কার্যকর হয় না। আইনের ফাঁকফোকরে নারী নির্যতনকারীরা, ধর্ষকরা বেরিয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার করে থাকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেদিকেও আমরা নজর দেবো। দেশে একটি রাজনৈতিক দল, যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে, তারা চায় যেন এ দেশের নারীরা অন্দরমহলে বন্দী থাকে, দেশের অর্ধেক জনসমষ্টি অন্ধকারে থাকে যেন এই দেশে নারীর অগ্রগতি না হয়।'

তারা বলছে নারীর কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে হবে। অথচ, তাতে করে নারীর কর্মঘণ্টা কমানোর সাথে কর্মসংস্থানের বিপরীত সম্পর্ক। আমরা চাই, নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা হোক। যদি কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হয়; তাহলে যারা অফিস আদালত, কলকারখানা পরিচালনা করেন তারা নারীদের চাকরি দিতে চাইবেন না। ফলে নারীদের কর্মসংস্থান কমে যাবে।

উপস্থিত নারীদের উদ্দেশে তিনি জানতে চান এই বিষয়ে নারীদরে মতামত কি? তখন নারীরা সমস্বরে চিৎকার করে এই বিষয়ে দ্বিমত পোষন করেন। যারা কর্মঘণ্টা কমানোর বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য খারাপ বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন।

দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে গেলে বাংলাদেশের মোট জনসমষ্টির অর্ধেক পুরুষ-অর্ধেক নারী তাদের সবার প্রগতি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সামাজিক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের পারিবারিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সমাজের সর্বত্র যাতে নারীরা নিরাপদ থাকে; সেই জন্য আগামীতে ৩১ দফার ভিত্তিতে নারীদের জন্য সমস্ত পরিকল্পনা করছি বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, সেই হিসেবে বাংলাদেশ হবে অগ্রগতির চরম শিখরে ওঠা একটি দেশ। এছাড়াও সভায় তিনি রাজশাহীর কাটাখালীতে ধানের শীষের প্রচার চালাতে গিয়ে দুই নারী নির্যাতনের শিকার হওয়া ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে  বলে উল্লেখ করেন।