প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বর, ২০২৫

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি ৭২ এর সংবিধান এনেছিল। ৯০ এর বিজয়ী শক্তি দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল। তেমনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ী শক্তি নির্ধারণ করবে, আগামীর গণভোট কেমন হবে। জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী শক্তিই আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ করবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কবি গোলাম মোস্তফা জাতীয় জাগরণের কবি। তার লেখা কাব্যগ্রন্থ ও লেখনীতে বাঙালি মুসলমানের জীবনদর্শন, চেতনা ও সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবি গোলাম মোস্তফার সৃষ্টিকর্ম চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংগ্রাম, অধিকার, ঐতিহ্য ও সাম্যবাদী চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্ত্বার নাম। সেই নিষিদ্ধ সত্ত্বার নামে যেকোনো কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচিই অপরাধ বলে গণ্য হবে। গণহত্যার মামলার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আইনগত ভাবেই মোকাবিলা করবে।
আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে দাবি করে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী শক্তিগুলো আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারন করবে। আগামী নির্বাচনে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটার কোনো কারণ আছে বলে মানে করি না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, রাজউকের সদস্য ও যুগ্ম সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস।
এর আগে জাতীয় সংগীত, কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। পরে আগত অতিথিদের উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কবি গোলাম মোস্তফার স্মরণে অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফিরোজ খান নূন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মিয়া মোশাররফ হোসেন ও কবি গোলাম মোস্তফার সন্তান বরেণ্য চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।