প্রকাশিত:
১৫ আগস্ট, ২০২৫
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। শাকিল আহমেদ চাটমোহর থানার এএসআই ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং তিন সন্তানের জনক। চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাসুরা খাতুন কয়েকমাস আগে থানায় একটি কাজে আসেন। এরপর থেকেই চাটমোহর থানায় কর্মরত এএসআই শাকিল আহমেদের সাথে তার পরিচয় হয়। এই সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়।
অতি সম্প্রতি মাসুরা খাতুন শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চাটমোহর থানার পেছনে চৌধুরীপাড়া মহল্লায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে প্রতিনিয়ত শাকিল আহমেদের যাতায়াত ছিল। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় একটি আদালতে সাক্ষী দেওয়ার কথা বলে থানা থেকে বের হন শাকিল আহমেদ। এরপর থেকে মাসুরা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
বৃহস্পতিবার শাকিল আহমেদের থানায় ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি। এদিকে মাসুরা খাতুনের শ্বশুর বজলুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ছেলে বউকে না পেয়ে এবং এএসআই শাকিলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মাসুরার দুইটি সন্তান রয়েছে । এদিকে শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
তবে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আকতার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এএসআই শাকিল কেন থানায় উপস্থিত নেই সেটি আগে প্রতিবেদন করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।