প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
তিনি বলেন, কেবল সেবা প্রদানে সীমাবদ্ধ না থেকে এটি স্থানীয় অর্থনীতির কার্যকর ওয়ান স্টপ সেন্টার হবে বলে আমি আশা করি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে আমি অভিনন্দন জানাই।
‘ডাক বিভাগ কেবল একটি সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি আমাদের সমাজের একটি অন্যতম প্রাচীন এবং বিশ্বস্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠানও বটে। বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে ডাকঘর সমাজের সর্বশেষ প্রান্তিক মানুষটির কাছেও পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ডাকঘরগুলোকে শুধুই বার্তা আদান-প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমিত না রেখে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রূপান্তর করা প্রয়োজন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেন, ডাকঘরগুলোকে কমিউনিটি-ভিত্তিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে সেখানে ই-কমার্স সহায়তা, ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য পরিবহন ও বিপণন এবং কৃষক ও প্রান্তিক জনগণের জন্য তথ্য বিনিময়ের মতো বহুমুখী সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবর্তনের যাত্রায় প্রধান উপদেষ্টা ডাক বিভাগের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সমগ্র দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।