প্রকাশিত:
২০ অক্টোবর, ২০২৫

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ১৬ অক্টোবর সকালে তৃতীয় ইউনিটের চারটি টারবাইনের স্টিম সেন্সর নষ্ট হয়ে ২৭৫ মেগাওয়াটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ রয়েছে।
কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে প্রথম ও তৃতীয় ইউনিটে মেরামতের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আংশিকভাবে উৎপাদন শুরু করার আশা করছি।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অচলাবস্থার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পার্বতীপুরসহ দিনাজপুর অঞ্চলে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২-এর পার্বতীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম জহুরুল হক জানান, তার জোনে প্রতিদিনের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট হলেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬–৭ মেগাওয়াট। এতে প্রায় ৮০ হাজার গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পার্বতীপুর কার্যালয় জানায়, শহরের দৈনিক চাহিদা ৬–৭ মেগাওয়াট, অথচ সরবরাহ মিলছে মাত্র ৩–৪ মেগাওয়াট। এতে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক চরম লোডশেডিংয়ে ভুগছেন।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৪০–১৫০ মেগাওয়াট এবং প্রথম ইউনিট থেকে ৪০–৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হতো। তিনটি ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে কয়লা মজুত রয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন, যা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে সরবরাহ করা হয়।
তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে পল্লী এলাকার গ্রাহকরা বারবার লোডশেডিং ও ভোল্টেজের ওঠানামায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, দুটি ইউনিট চালু হলে লোডশেডিং অনেকটাই কমে আসবে। তবে তার আগে এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।