প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর, ২০২৫

২০১০ সালের পর, চর জেগে উঠলে বসতি গড়ে তোলেন স্থানীয় মানুষ। গড়ে ওঠে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, বাজার, ক্লিনিক। সবই ছিল পদ্মার মাঝেই এক নতুন স্বপ্নের বাস্তবায়ন। কিন্তু ২০২৩ সালে সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
ভাঙনে প্রথমে বিলীন হয় পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আবারও শুরু হয় ধ্বংসযজ্ঞ। ২৮ আগস্ট পদ্মার গর্ভে হারিয়ে যায় রিজিয়া আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক।
গ্রাম তিনটির ৭০০ পরিবার এখন ছিন্নমূল। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) অধিগ্রহণকৃত জমিতে, কেউ আবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন নাওডোবার আশেপাশে।
বিবিএ’র জমিতে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোকে জমি ছাড়ার নোটিশ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি ছিল পদ্মা সেতুর ৩৬ নম্বর থেকে ৪৪ নম্বর পিয়ারের সংলগ্ন ভাটিতে। স্থানীয়রা বহুবার মানববন্ধন, আবেদন, এমনকি রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা। আর কিছু পরিবার পেয়েছে অল্প কিছু খাদ্য সহায়তা। শুধু বসতবাড়ি নয়, হারিয়ে গেছে শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রধান অবলম্বনগুলোও।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় বলেন, এবছর নাওডোবা এলাকায় পদ্মার দুই তীরেই ভাঙন ছিল। দক্ষিন তীরে পদ্মা সেতুর নানা অবকাঠামো থাকার কারণে ভাঙন ঠেকানোর গুরত্ব বেশি পেয়েছে। তাই চরের দিকে আমরা নজর দিতে পারিনি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের কিছু সহায়তা করা হয়েছে। তাদের পুর্নবানের জন্য খাস জমির সন্ধান করা হচ্ছে।