প্রকাশিত:
২ অক্টোবর, ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের আগস্ট মাসের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। পোল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে থাকে।
নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী— বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ। নারীদের হার ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারে অবশ্য ফেসবুকের চেয়ে নারী ব্যবহারকারী কিছুটা বেশি। তারপরও নারীদের চেয়ে পুরুষের উপস্থিতি প্রায় দ্বিগুণ।
চলতি আগস্ট মাসের হিসাবমতে, মেসেঞ্জারে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ। আর নারী ব্যবহারকারী মাত্র ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ। একইভাবে ইনস্টাগ্রামে নারী মাত্র ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। আর পুরুষ ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে লিংকডইনে নারী-পুরুষের হিসাব আলাদা করে দেখানো হয়নি।
নারীদের চেয়ে পুরুষ ব্যবহারকারীর ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়া প্রসঙ্গে প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। আমাদের দেশে নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছে। এখন অনেকে ফেসবুকে রাজনৈতিক প্রচারণা বলেন; আর অপপ্রচার বলেন; সেটা চালাতে ব্যস্ত। সার্বক্ষণিক কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। একজন পুরুষ অনেক ক্ষেত্রে একাধিক আইডি ব্যবহার করছে। নারীরাও যে করছে না তা নয়, তবে নারীদের চেয়ে পুরুষদের এ ধরনের অ্যাক্টিভিটি বেশি।’
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও লিংকডইন— সবগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেন-জিদের উপস্থিতি বেশি। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী মোট ব্যবহারকারীর অর্ধেকের কাছাকাছি। কোথাও জে-জিদের উপস্থিতি মোট ব্যবহারকারীর অর্ধেকের চেয়েও বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাকেন্দ্রিক; এমনকি পারিবারিক তথ্যও জেন-জিরা সবার আগে সামাজিক মাধ্যমে জানাতে বেশি পছন্দ করছে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতি নেই— এমন তরুণদের এখন খুঁজে বের করা কঠিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জেন-জিদের উপস্থিতি বেশি।’