প্রকাশিত:
২১ অক্টোবর, ২০২৫

সিআইডি’র গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, গতকাল (সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫) ভোর সাড়ে ৩টায় বান্দরবান জেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিশাল দর্শকপ্রিয়তা: ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রথম ভিডিও প্রকাশিত হয়। গত এক বছরে তাদের ১১২টি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
শীর্ষ র্যাঙ্কিং: মাত্র এক বছরের মধ্যেই তারা আন্তর্জাতিক পারফর্ম্যান্স র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠে আসে এবং ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী তাদের অবস্থান অষ্টম।
নেটওয়ার্ক তৈরি: শুধু ভিডিও তৈরি নয়, তারা অন্যদেরও এই জগতে যুক্ত করার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (টেলিগ্রাম, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম) ব্যবহার করে প্রচারণা চালাতো এবং নতুন ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য আগ্রহীদের টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলত।
অর্থ দিয়ে প্রলুব্ধ করা: তারা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নতুন ক্রিয়েটর যুক্ত করলে নগদ টাকা দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলুব্ধ করত।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হতে না পারা এই যুগল দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এলেও অনলাইনে তাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার বহু ছবি রয়েছে, যা সামাজিকভাবে উদ্বেগজনক।
তদন্তের অগ্রগতি:
বাংলাদেশ থেকে যাতে কেউ তাদের প্রকাশিত ১১২টি পর্নো ভিডিও দেখতে না পারে, সেই ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।
এই কাজের মাধ্যমে তারা কী পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন, কোন মাধ্যমে সেই অর্থ দেশে এনেছেন এবং নতুন ক্রিয়েটরদের কত টাকা দিয়ে কীভাবে উৎসাহিত করতেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
আটককালীন তথ্য: মুহাম্মদ আজিম বান্দরবান শহরের বালাঘাটা এলাকায় ফল ব্যবসায়ী পরিচয়ে একটি বহুতল ভবনে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জানান, তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও বাসা থেকে খুব একটা বের হতেন না।