প্রকাশিত:
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, প্রশাসনকে গতিশীল, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ করতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি থেকে রাজস্ব আহরণের বড় অংশ আসে কাস্টমস হাউজগুলো থেকে। শুল্ক গোচর, মূল্যায়ন, ছাড়পত্র—সবক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ‘কমফোর্ট জোন’ তৈরি হয়, যা স্বচ্ছতা ও দক্ষতার পথে বাধা বলে মনে করছে এনবিআর।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘাটতি পূরণে এনবিআর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর, কাস্টমস হাউজ ও এয়ারফ্রেইট ইউনিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়াঃ
বদলির খবরে কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এটিকে নতুন দায়িত্ব ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হিসেবে দেখছেন। আবার কেউ কেউ হঠাৎ বদলির কারণে পারিবারিক জীবনে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন। তবে অধিকাংশই এটিকে প্রশাসনিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে মেনে নিচ্ছেন।
অর্থনীতিবিদ ও প্রশাসন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিয়মিত রদবদল হলে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনেকটাই কমে যায়। কর্মকর্তারা তখন কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে বাধ্য হন। তবে কেবল বদলি নয়, ডিজিটাল মনিটরিং, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং শুল্ক প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন জরুরি বলে তাদের পরামর্শ।
এনবিআরের এ উদ্যোগকে অনেকেই আসন্ন অর্থবছরের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কৌশলের অংশ বলছেন। রাজস্ব ঘাটতি কমাতে এবং কর ফাঁকি রোধে রদবদল কার্যকর হবে কিনা, তা নির্ভর করবে নতুন কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও নীতিগত সংস্কারের ওপর। একসঙ্গে ৪৮৫ কর্মকর্তার বদলি কেবল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক ও জবাবদিহিমূলক করার একটি বড় পরীক্ষা।