‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত ভোটাদের ঠিকানায় আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সালীম আহমাদ খান।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সালীম আহমাদ খান বলেন, আমরা স্ট্যান্ডার্ড ওয়েতে যে রেজিস্ট্রেশন প্রসেসটা করেছিলাম, সেটা আমরা ওপেন করে দিয়েছি। অর্থাৎ আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রবাসী বাংলাদেশী, যাদের এনআইডি কার্ড রয়েছে, তারা নিবন্ধন করে পোস্টাল অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।

সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দেয়ায় সৌদি আরবসহ সাত দেশে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ ও পুনরায় শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল রাতে যখন আমরা শুরু করেছি, তখন রেসপন্স খুব হাই ছিল। রাত আড়াইটার দিকে আমরা দেখলাম, সাত দেশ সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, মালয়েশিয়া আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী ভোটাররা ওনাদের ঠিকানা ভুল করছেন। ঠিকানা ভুল হলে তো ব্যালট পৌঁছবে না জায়গা মতো। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সাতটা দেশে নিবন্ধন বন্ধ রাখাটাই ভালো হবে সাময়িকভাবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। আজ সকালে আমরা ওই সাত দেশের অ্যাম্বাসির সাথে বসেছিলাম। আগামীকাল সকালের মধ্যে আমরা এটা সমাধান করে ফেলার চেষ্টা করব। শুক্রবারে ছুটি থাকে। সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে থাকা প্রবাসী ভোটাররা যেন ছুটির দিন কাজে লাগাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করছি, অ্যাপেই একটা এড্রেস কারেকশনের এডিট চালু করার। যাতে এড্রেসটা সবাই আবার রিচেক করতে পারেন। রিচেক করলে এড্রেসটা যখন কনফার্ম হবে আমরা সামনের সপ্তাহ শেষের থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে আমাদের পোস্টাল প্যাকেজ পাঠানো শুরু করে দেব।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একদিন যারা পেলেন না তারা বাড়তি সময় পাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ওখানে ২১ দিন পাচ্ছেন। ২১ দিন সময় যথেষ্ট। আমাদের কল সেন্টার অ্যাক্টিভেট হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, কেউ যেন রেজিস্ট্রেশন থেকে বাদ না পড়েন।

এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা অগ্রসর হব, প্রবলেম হবে, সেটাকে সলভ করব। প্রবাসী ভোটারদেরকে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে এক্সপেক্টেশন (প্রত্যাশা) যেটা হাই ছিল, এখনও আমাদের হাই আছে।

নিবন্ধন সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতা শিগগিরই কেটে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্তই থাকছে।