প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে
দেশটিতে বসবাস করা প্রবাসীরা বলছেন, কাজের সুযোগ থাকলেও অদক্ষ আর অবৈধ বাংলাদেশিরা সেটি কাজে লাগাতে পারছে না। এমনকি চলতি বছরে দেশটির সাথে সমঝোতা স্মারক সই হলেও দৃশ্যমান হয়নি এর কিছুই। প্রবাসীদের প্রত্যাশা, প্রধান উপদেষ্টার ইতালি সফরে বহুল প্রত্যাশিত সংকটের সমধান হবে।
ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য ইতালি। দেশটিতে প্রতি বছর অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন, শত শত বাংলাদেশি। তাদের বেশিরভাগই যাত্রা বিপদ সঙ্কুল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে।
ইউরোপের এই দেশটিতে বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশির বসবাস।
ইতালিতে বসবাস করা প্রবাসীরা বলছেন, কাজের যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও বিপাকে আছেন অনেকেই।
একজন প্রবাসী বলেন, গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ইতালিতে এসেছেন সুন্দরভাবে জীবন গড়ার আশায়। কিন্তু তাদের অনেকেই এখনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে পারেননি। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আবার কারও শিগগিরই শেষ হতে যাচ্ছে। দ্রুত সমাধান না হলে তারা বড় বিপদে পড়বেন।
আরেকজন বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা ইতালিতে কাজ করতে আসছেন, তাদের উচিত ইতালিয়ান ভাষা শেখা ও নির্দিষ্ট কারিগরি প্রশিক্ষণ নেয়া। বৈধ ও নির্ভরযোগ্য কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসলেই তাদের জন্য সুযোগ তৈরি হবে।
তবে ইতালি সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশির। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন সফরে এর সমাধান চান প্রবাসীরা।
একজন প্রবাসীর ভাষায়, যদি কেউ ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষ হয়ে এবং প্রশিক্ষিত শ্রমিক হিসেবে আসে, তাহলে কাজের অভাব নেই। বরং দীর্ঘমেয়াদে সে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগও পেতে পারে।
আরেকজন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি ইতালির উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সাথে বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন, তাহলে আমরা আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ও ইতালিতে কর্মী নিয়োগে ঢাকায় একটি সমঝোতা করে দু’দেশ। তবে এখনো কিছুই দৃশ্যমান হয়নি। দেশটিতে সিজনাল ও ননসিজনাল এই দুই ক্যাটাগরিতে ভিসা দেয়ার কথা থাকলেও হয়নি কিছুই।