প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
এই উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে আছেন সোসাইটির আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, যিনি অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে সোসাইটির টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য করে এবং যুব ও সহশিক্ষা কার্যক্রম থেকে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি সাথে জড়িত। এই উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে আছেন সোসাইটির আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, যিনি অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে সোসাইটির টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য করে এবং যুব ও সহশিক্ষা কার্যক্রম থেকে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি সাথে জড়িত।
ইমাম জাফর শিকদার স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমুর ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে যে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, সেই দূর্নীতির তদন্ত বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে।
সোসাইটির বর্তমান ট্রেজারার যিনি সিলেটের আরেকজন দুর্নীতিবাজ হিসেবে খ্যাত তথা আওয়ামী সরকারের সিলেটের প্রাক্তন মেয়র বদরুদ্দীন কামরানের ছোট ভাই এবং ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে দুর্নীতি করা আমিনুল ইসলাম এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এনসিপি নেতা মুনতাসির মাহমুদের সাথে হাত মিলিয়ে গতকাল দুপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদেরকে এনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরের ভেতরে অরাজকতা ও মব তৈরি করছে যেটি অত্যন্ত ঘৃণিত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এই মবে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২০/২৫ জন বিদেশি ডেলিগেটের মনে আতঙ্ক ও ভীতির জন্ম নিয়েছে।
এনসিপি নেতা উপ-পরিচালক মুনতাসির নিজে সিকিউরিটিদের হুমকি ধামিক দিয়ে মব সৃষ্টিকারীদেরকে অফিসের ভিতরে প্রবেশ করান। তারা অফিসের ভিতরে যেয়ে চেয়ারম্যান সচিবালয়, মহাসচিব দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে যেয়ে মব তৈরি করেন। এই ন্যাক্কারজ্বনক ঘটনায় বিদেশিরা অনিরাপত্তা বোধ করলে হাতিরঝিল থানাকে অবহিত করা হয়। সোসাইটির ট্রেজারার মোঃ আমিনুল ইসলাম, দুর্নীতিবাজ পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার এবং উপ পরিচালক মুনতাসির মাহমুদ এর এ সমস্ত অন্যায় জুলুম ও মব দেখে আন্তর্জাতিক ও অরাজনৈতিক এই প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য ও ইমেজ হারাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বহিরাগতরা সবাই মুনতাসির মাহমুদ এবং ইমাম জাফর শিকদারের লোক।
এই এনসিপি নেতা মুনতাসির মাহমুদ আরেক দুর্নীতিবাজ সমন্বয়ক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক বোর্ড সদস্য তুহিন ফারাবির ঘনিষ্ট বন্ধু। তুহিন ফারাবীর মাধ্যমে যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের সাবেক পরিচালক ইমাম জাফর শিকদারকে টাকার বিনিময় আশি হাজার টাকা বেতনে সম্পুর্ণ অবৈধভাবে রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটিতে উপ-পরিচালক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু তিনি কখনও অফিসের নিয়ম মানেন না। ইচ্ছা হলেই অফিসে এসে উত্তেজনা তৈরি করে আবার চলে যান। অফিসের নিয়মানুযায়ী কোন কাজও করে না। মুনতাসির প্রতিদিনই বহিরাগতদেরকে সোসাইটির ভেতরে এনে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এগুলো সোসাইটির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে।
রেড ক্রিসেন্টের উপ-পরিচালক মুনতাসির যেভাবে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে জোরপূর্বক রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটিতে চাকরি নিয়েছে ঠিক তেমনই বর্তমান সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রতিদিন মহড়া দিচ্ছে এবং জোরেশোরে ঘোষনা করছে সে তেজগাঁ এলাকা, হাতিরঝিল এলাকা থেকে এমপি পদে নির্বাচন করবে যেটি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের মব তৈরিতে বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে ও প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী,সচিব ও রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের আইনানুগ পদক্ষেপ কামনা করেছেন দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।