প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে
শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি : অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রেজা ইফতেখার বলেন, দেশের রিটেল গ্যাস খাতে ব্যাংকের অবদান ইতোমধ্যেই বড় এবং ভবিষ্যতেও এটি আরও বাড়ানো সম্ভব। এই সেক্টর বছরে প্রায় ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংকের উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে প্রাইস নির্ধারণ করা এবং অনিশ্চয়তা কমানো যায়, যা রিটেল কনজুমারের ওপর হঠাৎ চাপ পড়তে বাধা দেবে।
তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমত, ডলার ফ্লাকচুয়েশন, যা আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার কারণে গ্যাসের মূল্যর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। দ্বিতীয়ত, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, যেখানে ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রসেস দ্রুত ও কার্যকর করতে পারেন। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা ও ফ্রেট খরচ বৃদ্ধির কারণে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা, যা ব্যাংকের ছোট প্রিমিয়ামের মাধ্যমে আংশিকভাবে হ্রাস করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, যদি আন্তর্জাতিক প্রাইস বৃদ্ধি পায়, তবে আমরা আগেভাগেই ফিক্সড প্রাইসে বুকিং দিয়ে লোকাল বাজারে হঠাৎ দাম বৃদ্ধি রোধ করতে পারি। সরকারের নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও ব্যাংকিং সেক্টর ব্যবসায়ীদের সহায়তা করতে পারে যাতে রিটেল কনজুমারের ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।