প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী এবং বাকিরা অন্যান্য লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষ। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো—এই ৪০ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিক্ষার্থী, যাদের বয়স ১৭ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১২ জন।
বর্তমানে যশোরের এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) কেন্দ্রে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার মোট ২২০ জন এইচআইভি ও এইডস আক্রান্ত রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যশোর সীমান্তবর্তী হওয়ায় এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, নিরাপদ যৌনচর্চা সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সচেতনতার অভাব—সব মিলিয়ে তরুণদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যৌন অভিমুখিতা নয়, বরং নিরাপত্তাহীন যৌন আচরণই এইচআইভি সংক্রমণের মূল কারণ। নিরাপদ যৌন সম্পর্ক (যেমন কন্ডোম ব্যবহার) এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যশোরে এইচআইভি সংক্রমণের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বড় সতর্কবার্তা। তরুণদের মধ্যে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখনই যৌথ উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।