প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. ইউনূস সাহেব, আপনি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, তা সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদই দেশের চলমান সংকটের সমাধান করবে। যদি এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তবে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপি যেসব বিষয়ে একমত ছিল না, সেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট জমা দিয়েছিল। কিন্তু কমিশনের প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সেই নোটগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। তার ভাষায়, “এভাবে একপাক্ষিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এটি ঐকমত্য নয়—বরং জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতারণা।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই এখন জাতীয় সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী শক্তি তত শক্তিশালী হচ্ছে। তাই সকল দলের মতৈক্য ও ভিন্নমতকে বিবেচনায় নিয়েই দ্রুত নির্বাচন আয়োজন জরুরি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বিএনপি কখনোই সংস্কারের বিপক্ষে নয়। কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংস্কারবিরোধী দল হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়, যা সত্য নয়। স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপির ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।”