প্রকাশিত:
২১ অক্টোবর, ২০২৫

তিতাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিল বকেয়া থাকার পাশাপাশি মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস চুরির প্রমাণ পাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) হেমায়েতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি মিটার জব্দ করা হয়।
তিতাসের ভিজিল্যান্স টিমের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযানে গেলে স্থানীয় শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়তে হয় কর্মকর্তাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজেআই গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিইও অনন্ত জলিল বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে আমাদের কারখানা নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে কারখানা পরিচালনার মতো অর্থ আমাদের হাতে নেই।”
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ১ মে ‘পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’-এর ডাইং সেকশন মো. জুয়েল ইসলাম নামের একজনকে ৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছিল। “সে গ্যাস বিল বকেয়া রেখেছে এবং মিটার টেম্পারিং করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে,” বলেন অনন্ত জলিল। তিনি জানান, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জুয়েল ইসলামের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের সাভার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এজেআই গ্রুপের কারখানায় তিনটি গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে টেক্সটাইল সেকশনের দুটি সংযোগ (সংকেত নম্বর: ৩৩৮০০০৪০৪ ও ৮৩৮০০০৪০৪)-এর বিপরীতে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বকেয়া পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন বকেয়া আদায়ে যাই, তখন দেখতে পাই মিটার টেম্পারিং করে গ্যাস চুরি করা হচ্ছে। তাই নিয়মানুযায়ী সেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়েছে।”
নিয়ম অনুযায়ী, ‘চোরাই’ গ্যাসের মূল্য বাবদ জরিমানা ও বকেয়া বিল পরিশোধ সাপেক্ষে সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, অনন্ত জলিল ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষার মালিকানাধীন এবি গ্রুপের নামে থাকা অপর একটি তৈরি পোশাক কারখানার গ্যাস সংযোগ বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। চাইনিজ একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়া ওই কারখানার গ্যাস বিল নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে বলেও জানান তিতাস কর্মকর্তারা।