প্রকাশিত:
গতকাল
.jpg&w=3840&q=75)
জয়েরএমন মন্তব্যের পর রাজনীতিতে সৃষ্টিহয়েছে তীব্র বিতর্ক, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসও। যে হাসিনা একযুগ ধরে গুম, হত্যা ও ভুয়া ভোটেরাজনীতিচালিয়েছেন—তারই পুত্র এখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন!
মার্কিনসংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস—এপি’কে দেয়া একসাক্ষাৎকারে, পলাতক প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন—আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেটি অবৈধ হবে, বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবেনা।
জয়েরএমন মন্তব্যের পর রাজনীতিতে সৃষ্টিহয়েছে তীব্র বিতর্ক, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসও। যে হাসিনা একযুগ ধরে গুম, হত্যা ও ভুয়া ভোটেরাজনীতিচালিয়েছেন—তারই পুত্র এখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন!
২০২৪সালের ৫ আগস্ট, ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।সহিংসতা, দমন–পীড়ন ও শত শতপ্রাণহানির পর দেশ ছেড়েপালিয়ে যান ভারতে।
এরপর৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মৌলিক সংস্কারেরলক্ষ্যে শুরু হয় নির্বাচনের প্রস্তুতি।
তবেআওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনেরদায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এইপরিস্থিতিতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন জয়—তার মাও তাদের দলকে ভোটে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি!
“বর্তমানসরকার ইসলামপন্থীদের সুবিধা দিচ্ছে, নির্বাচনে কারচুপির পরিকল্পনা করছে। আওয়ামী লীগের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে নির্বাচনঅর্থহীন হয়ে পড়বে।”
সাক্ষাৎকারেইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলেন জয়।
জাতিসংঘেরএক প্রতিবেদনে বলা হয়—২০২৪ সালেরগণঅভ্যুত্থানে অন্তত ১৪০০ জন নিহত হন।জয় সেই সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ।
তিনিবলেন, “জুলাইয়ে আন্দোলনকারীদের উপর কঠোর দমন–পীড়ন হাসিনা সরকারের ভুল ছিল।”
বিশ্লেষকরাবলছেন, এটাই প্রথমবার—আওয়ামী পরিবারের কেউ প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমননীতি।
এদিকেদেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা তা প্রত্যাহারের আহ্বানজানিয়েছে।
তবেসাধারণ মানুষের কাছে শেখ হাসিনার শাসনকাল হয়ে আছে ভয়, ক্ষোভ আর রক্তাক্ত অধ্যায়হয়ে।