প্রকাশিত:
গতকাল

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশনার পর সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরায় কার্যকর করেছে।
বিবৃতিতে দখলদাররা বলেছে, তারা গাজার প্রায় ৩০ জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এতে হামাসের অবকাঠামো ও যোদ্ধাদের লক্ষ্য করা হয়েছিল বলেও জানায় তারা।
এরআগে গতকাল রাতে গাজায় ‘তাৎক্ষণিক’ ও ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ দেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওইদিন বিকালে রাফাতে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। তবে তার ওপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছিল সেটি নিশ্চিত নয়।
ওই সেনার মৃত্যুর পর ইসরায়েল দাবি করে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মৃত জিম্মিদের মরদেহ সময়মতো ফেরত না দিয়ে হামাস চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলেও দাবি করে তারা। এরপরই রাতে গাজায় ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু।
তার নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজায় এসে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে।
এতে এক পরিবারের ১৮ জনসহ প্রায় ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর ঘোষণা করলেও হামাস এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গতকাল নেতানিয়াহু হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী জানায়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করায় তারা জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর স্থগিত করেছে।