প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর, ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গঠিত এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কোন কোন দেশ এতে অংশ নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীর ক্ষেত্রেও স্পষ্ট করে দিয়েছি যে ইসরায়েল নিজেই ঠিক করবে কোন বাহিনী আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রও এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে।”
ইসরায়েল ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর অংশগ্রহণ তারা চায় না। গাজা যুদ্ধের পর থেকে তুরস্ক ও ইসরায়েলের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান ইসরায়েলের হামলাকে “ধ্বংসাত্মক ও মানবিক বিপর্যয়” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফরে এসে বলেন, “গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী এমন দেশগুলোর হওয়া উচিত যাদের নিয়ে ইসরায়েল স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।” তিনি তুরস্কের অংশগ্রহণ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এখনও নিরস্ত্র হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র জানান, গাজায় এখনো ১৩ জন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ রয়েছে এবং হামাস তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত। ইসরায়েল ইতিমধ্যে মিসরীয় একটি প্রযুক্তিগত দলকে রেড ক্রসের সাথে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে যাতে তারা গাজার ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ উদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
নেতানিয়াহু বলেন, “ইসরায়েল একটি স্বাধীন দেশ। আমেরিকা আমাদের নিরাপত্তা নীতি নির্ধারণ করে না।” তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।
কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায়ই নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির কাঠামো মেনে নিতে বাধ্য হন এবং আরব দেশগুলোকে হামাসকে সব জিম্মি ফেরত দিতে রাজি করাতে সক্ষম হন।