প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে

কোস্টাল ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড ইন্টেলিজেন্সের সহকারী পরিচালক জোসেফ ফিটসানাকিস বলেন, ‘১৯৩৯ সালের তুলনায় আজ ইউরোপ রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত নয়। ফ্রন্ট-লাইন রাষ্ট্রগুলি সতর্ক হলেও পশ্চিম ইউরোপের জনগণ এখনও হুমকির পুরো পরিধি বুঝতে পারেনি।’
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের পর রাশিয়ান গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিলের উত্তর ইউরোপ পরিচালক আনা উইসল্যান্ডার বলেন, ‘হাইব্রিড যুদ্ধ ইউরোপকে দুর্বল ও বিভক্ত করছে।’
সেপ্টেম্বরের শুরুতে পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার ড্রোন ও যুদ্ধবিমান নজরদারি নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ন্যাটোর সাথে যুদ্ধের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাশিয়ার ‘ছায়া নৌবহর’ ও ড্রোন অভিযান ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। পোল্যান্ড ও অন্যান্য পূর্ব সীমান্তবর্তী দেশগুলো সক্রিয় প্রতিক্রিয়া নিচ্ছে, কিন্তু পশ্চিম ইউরোপে সমন্বিত ব্যবস্থা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের উপর ইউরোপীয় গোয়েন্দা নির্ভরতা থাকলেও ফিটসানাকিসের মতে, রাজনৈতিক কারণে সহযোগিতার মান ভেঙে পড়েছে। কিছু ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থা মার্কিন তথ্য ভাগাভাগি সীমিত করছে, যা ন্যাটোর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ ও ন্যাটোর ভেতরকার বিভাজন ইউরোপকে ‘জরুরি অবস্থা’ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।