প্রকাশিত:
২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ভারতের ২৬৪ রানের লক্ষ্য ২২ বল বাকি থাকতে অতিক্রম করে ফেলে মিচেল মার্শের দল। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন লেগ স্পিনার জ্যাম্পা, যার বোলিং ফিগার ১০ ওভারে ৬০ রানে ৪ উইকেট।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। নবাগত পেসার জাভিয়ের বার্টলেট সপ্তম ওভারে টানা দুটি উইকেট তুলে নেন। শুভমান গিল ক্যাচ দেন মিড-অফে, আর ভেতরে ঢোকা বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে ‘ডাক’ দেখেন সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান কোহলি।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে রোহিত শর্মা ও শ্রেয়াস আইয়ারের ১১৮ রানের জুটিতে কিছুটা স্থিরতা ফেরে ভারতীয় ইনিংসে। ধীর সূচনার পর রোহিত ৭৪ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি, ২০১৫ সালের পর যা তার সবচেয়ে ধীরতম ওয়ানডে অর্ধশতক। শ্রেয়াসও ৬৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান।
তবে মাঝপথে ফেরেন দুজনেই। স্টার্কের বলে রোহিত, আর জ্যাম্পার টার্নে বোল্ড হন শ্রেয়াস। এরপর লোকেশ রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দার, নিতিশ রেড্ডি কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আকসার প্যাটেল (৪৪) ও হার্শিত রানার (২৪*) ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে ২৬৪ পর্যন্ত নিয়ে যান ভারত।
অন্যদিকে রান তাড়ায় শুরুটা সাবধানী হলেও ধীরে ধীরে ছন্দ পায় অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৪২ রান তোলার পর মার্শ (২৮) ফিরে গেলে দায়িত্ব নেন শর্ট। তার সাথে রেনশর যোগে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। রেনশ আউট হওয়ার পরও শর্ট নিজের ইনিংস চালিয়ে যান পরিণত ব্যাটিংয়ে।
৭৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ২ ছক্কা ও ৪ চার মারেন এই ডানহাতি ব্যাটার। কুপার কনোলি তাকে দারুণ সঙ্গ দেন, ৪২ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ৫৩ বলে করেন ৬১ রান। শেষদিকে ওয়েনের ঝড়ো ২৩ বলে ৩৬ রানে জয়ের সমীকরণ সহজ করে দেন তারা।
শেষ ওভারের আগেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে অ্যাডিলেইডে উল্লাসে ভাসে জ্যাম্পা–স্টার্ক–বার্টলেটরা।