প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
জানা যায়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সঞ্চালনা করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের একটি প্রেজেন্টেশন দেন, যেখানে তিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রবাসীদের বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা নিজ নিজ সামর্থ্যে অবদান রেখে জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন দেশের পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এ সময় একবছর আগে কী পরিস্থিতিতে সরকার গঠন করতে হয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতার কথাও বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সর্বদা আপনাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার উপায় খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করছি। আপনাদের দেখে আমরা নতুন সংকল্প নিয়ে দেশে ফেরার আত্মবিশ্বাস পাই।
তিনি বলেন, দর্শক সারি থেকে কথা বলা খুব সহজ, কিন্তু আমরা চাই আপনারা মাঠে আমাদের সঙ্গে যোগ দিন এবং একসঙ্গে খেলুন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায় যখন দেখলাম যে রাজনৈতিক নেতারা এই সফরে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন।
রেমিট্যান্স প্রবাহে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের পদক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি।
জাতিসংঘ অধিবেশনের মতোই এনআরডির অনুষ্ঠানেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টার পাশে ছিলেন। এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সেবা, দিকনির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন 'শুভেচ্ছা' উদ্বোধন করেন।