প্রকাশিত:
গতকাল

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত বিটিটিএফ প্রেস মিট অনুষ্ঠান থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মেলার প্রেক্ষাপট ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো, তাসলিম আমিন শোভন। তিনি বলেন, এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং এফবিসিসিআই।
এবারের মেলায় পাকিস্তান, নেপাল এবং ভুটানের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে।
মেলায় ৪টি হলে ২০টি পেভিলিয়নসহ ২২০টি স্টল থাকবে। মেলায় সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকবে বিটুবি সেশন, সেমিনার ও কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন। এছাড়া মেলায় আগত দর্শনাথীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। পাশাপাশি থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র পুরস্কার। এক্ষেত্রে যারা বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যাবহার করে মেলায় প্রবেশ করবেন, শুধু তারাই র্যাফেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। মেলার প্রবেশ মূল্যের ওপর বিটিটিএফ পেমেন্ট পার্টনার বিকাশের ক্যাশব্যাক অফার থাকছে।
টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, টোয়াব বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন এবং বিটিটিএফ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন মেলা। ২০০৭ সাল থেকে টোয়াব এটি আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। আমরা আশা করছি, এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। মেলাটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।