প্রকাশিত:
২৫ অক্টোবর, ২০২৫

কোম্পানির চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এক মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে (পিএসআই) এই আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে যেখানে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ টাকা ৪২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৯ পয়সায়।
লোকসানের কারণ হিসেবে কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্যের দাম বাড়ানো সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অফার, ছাড় ও প্রচারণা কার্যক্রমের কারণে ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি পরিচালন ব্যয় ও সুদ ব্যয় বাড়ায় লোকসান হয়েছে।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, নতুন কারখানা চালু হলে উৎপাদন সক্ষমতা তিন গুণ বাড়বে। এতে ব্যয় কমে আসবে এবং আগামী বছরগুলোয় কোম্পানিটি আবারো লাভজনক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৯১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮১ পয়সায়।
সিঙ্গার বাংলাদেশের অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৫৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৮৩৮। এর ৫৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৯১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।