প্রকাশিত:
গতকাল

দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমোজগান প্রদেশের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ফার্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ছয় মিলিয়ন লিটার নিষিদ্ধ ডিজেল জ্বালানি বহনকারী ওই ট্যাংকারটি ওমান সাগরের উপকূলে আটক করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, নেভিগেশন সিস্টেম বিকল হয়ে পড়ায় জাহাজটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল।
ইরানি বাহিনী নিয়মিতভাবে উপসাগরীয় এলাকায় অবৈধ জ্বালানি পরিবহনের সঙ্গে জড়িত জাহাজ আটকের ঘোষণা দিয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইরানে গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশটিতে জ্বালানি তেল চুরি ও পাচারের সঙ্গে জড়িত একাধিক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চক্র গড়ে উঠেছে। এসব চক্র সস্তায় ইরানের তেল সংগ্রহ করে তা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার ও বিক্রি করে থাকে।
এর আগেও ইরানের কোস্টগার্ড বাহিনী গত মাসে পারস্য উপসাগর থেকে একই ধরনের একটি তেল ট্যাংকার জাহাজ জব্দ করেছিল।
এদিকে গত বুধবার ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজ জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। ওয়াশিংটনের দাবি, জাহাজটির ক্যাপ্টেন ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে তেল পরিবহন করছিলেন। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০২২ সালে ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন ট্রেজারি।