প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে, এই দ্বৈত নির্বাচন সেই পথরেখাকে আরও দৃঢ়তা দেবে, গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি সুসংহত করবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি গভীর আস্থা প্রকাশ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন:
“আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং পেশাদারির সঙ্গে।”
তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে, নির্বাচন ও গণভোটকে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কমিশনকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত।
দেশের সকল রাজনৈতিক দলসমূহ, প্রার্থী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ আহ্বান জানান:
“এই নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে আমাদের সামনের দিনগুলো আরও স্থিতিশীল হবে।”
বার্তার শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আজ নতুন ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণে সফল হবো—এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।