প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

সিইসির এই ভাষণটি বুধবার বিকেলে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে রেকর্ড করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই দেশজুড়ে নির্বাচনী আমেজ শুরু হতে যাচ্ছে এবং কার্যকর হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
নিচে নির্বাচন ও গণভোট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো:
ভোটগ্রহণের তারিখ: ১২ ফেব্রুয়ারি।
সময়: সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
ব্যালটের রঙ: ভোটারদের সুবিধার্থে দুটি নির্বাচনের ব্যালট আলাদা রঙের হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সাদা-কালো ব্যালট।
গণভোট: গোলাপি রঙের ব্যালট।
তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্র জারি ও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে:
আচরণবিধি প্রয়োগ: নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছুদের ভাষ্যমতে, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কঠোরভাবে আইন ও আচরণবিধি প্রয়োগ শুরু হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ: অধিকাংশ আসনে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এবারই প্রথম কিছু আসনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে 'প্রতীকী' রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
জরুরি নির্দেশনা: আগাম প্রচারসামগ্রী অপসারণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ নির্দেশনা ও চিঠি দেওয়া হবে।
এবারের নির্বাচনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজার প্রবাসী ভোটার অনলাইনে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সরকারের বর্ষপূর্তির আগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা আগেই জানিয়েছিলেন যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। পরবর্তীতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৩ নভেম্বর তিনি ঘোষণা দেন যে, সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনায় বর্তমান কমিশনের এটিই প্রথম বড় পরীক্ষা।
কমিশন আশা করছে, নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকবে।