প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। সিট নিশ্চিত করতে চাইলে আমরা কোনো না কোনো জোটের সাথে চলে যেতাম। আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য হলো ৩০০ আসনে সংস্কারপন্থী প্রার্থী দেওয়া, যারা জনগণের কাছে গিয়ে 'হ্যাঁ' ভোটের (সংস্কারের পক্ষে) প্রচারণা চালাবে।'
তিনি এবারের নির্বাচনকে 'গণভোট' হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, 'এই নির্বাচন শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের নয়। এখানে ভোট হবে 'হ্যাঁ' অথবা 'না'-তে। 'হ্যাঁ' মানে সংস্কার ও গণঅভ্যুত্থানের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা। আর 'না' মানে ৫ আগস্টের আগের ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। আমরা জনগণকে 'হ্যাঁ'-এর পক্ষে অর্থাৎ সংস্কারের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাব।'
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এনসিপির মনোনয়ন পেতে সারা দেশে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে এবং প্রায় ১৬০০ ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিকভাবে ১২৫ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তালিকায় শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রবাসী এবং সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নাহিদ ইসলাম জানান, দুর্নীতি, সন্ত্রাস বা ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত কাউকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
আমরা কোন আসন কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য ফাকা রাখিনি। এটি উন্মুক্ত করা হলো জনগণের সামনে যদি কারো বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ফাসিবাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে তাহলে তাদের প্রার্থীতা বাতিল হবে৷ ৩০০ আসন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
গণঅভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। নাহিদ বলেন, 'এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজেদের সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা পুরোনো দলাদলি ও দলীয় এজেন্ডা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। তাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় এনসিপির জন্ম হয়েছে।'
নির্বাচনী মাঠে এনসিপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'কমিশন মাফিয়া ও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, তার ওপরই নির্ভর করবে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে।'