প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুই নেতার নির্বাচনী আসন প্রায় নিশ্চিত হলেও দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি:
মাহফুজ আলম: লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ উপজেলা) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আসিফ মাহমুদ: ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে লড়বেন।
পদত্যাগের আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মাহফুজ ও আসিফের আলোচনা চলছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্র অনুসারে, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ উভয়েই বিএনপির 'ধানের শীষ' প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে তাঁরা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে একসময় তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে:
আসিফ মাহমুদের সঙ্গে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
মাহফুজ আলমের প্রভাবও এনসিপিতে কমে এসেছে।
এনসিপির সূত্র মতে, এই কারণে মাহফুজ ও আসিফের এনসিপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
পদত্যাগের আগের রাতে আসিফ মাহমুদ তাঁর সরকারি বাসভবনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ দলটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আসিফ গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং দলটিও তাঁকে নিতে ইতিবাচক।
গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান এই বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আসিফের সঙ্গে তাঁদের একধরনের রাজনৈতিক বন্ধন আছে।
আসিফ মাহমুদ: সর্বশেষ তথ্যে তিনি আপাতত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়বেন।
মাহফুজ আলম: তিনি দু-তিন দিনের মধ্যে নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মাহফুজ আলমের ভাই (মাহবুব আলম, এনসিপি নেতা): তাঁর মতে, মাহফুজের এনসিপিতে আসা কিংবা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিনি লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে লড়বেন, তবে দলের বিষয়ে আলোচনা চলছে।