প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন।
নির্বাচনী জোটে শরিকদের প্রধান দলের প্রতীকে ভোট করার বিদ্যমান ব্যবস্থার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে রুলটি জারি করা হয়েছিল, তা হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আইন বা বিধিমালার বর্তমান বিধানটিই বহাল থাকল।
হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী আইনি প্রভাব রয়েছে:
স্বকীয়তা রক্ষা: এই রায়ের মাধ্যমে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের স্বকীয়তা ও নিজস্ব প্রতীক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত হলো।
ঐতিহ্যে ছেদ: অতীতে যে প্রচলিত নিয়মে ছোট দলগুলো জোটের প্রধান দলটির প্রতীক ব্যবহার করে ভোটে অংশ নিত (যেমন, নির্দিষ্ট জোটের ক্ষেত্রে 'নৌকা' বা 'ধানের শীষ'), সেই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির ওপর আইনি দাঁড়ি টানা হলো।
ভোটারদের চ্যালেঞ্জ: জোটের প্রতিটি শরিক দল নিজস্ব প্রতীকে লড়লে ভোটারদের জন্য ভোটকেন্দ্রে তাদের পছন্দের জোটের প্রার্থীদের চিহ্নিত করা কিছুটা জটিল হতে পারে।
এতদিন ধরে নির্বাচনী জোটে থাকা শরিক দলগুলো স্বেচ্ছায় তাদের নিজস্ব প্রতীক বাদ দিয়ে জোটের নেতৃত্বস্থানীয় দলের প্রতীকে (যেমন: কিছু ক্ষেত্রে নৌকা বা ধানের শীষ) নির্বাচনে অংশ নিত। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি এড়ানো এবং জোটের ঐক্যের বার্তা জোরদার করা। তবে হাইকোর্টের এই রায়ের পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই সুযোগ আর থাকছে না।
নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও দলগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে এই রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকরা।