প্রকাশিত:
১ ঘন্টা আগে

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ইউটিউব চ্যানেল ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার হাশিম আমলার সঞ্চালনায় এই পডকাস্টে বলেন, ‘কিছুটা ইচ্ছা করেই আমি এটা করেছিলাম, কারণ এক ম্যাচে ৭০ ওভারের বেশি বোলিং করেছিলাম। টেস্ট ম্যাচে আমার ক্যারিয়ারে কখনো ৭০ ওভার বোলিং করিনি। টনটনে সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে চার দিনের ম্যাচটি খেলছিলাম। খুব ক্লান্ত ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানে পরপর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। সেখানে সিরিজ জেতার পর চার দিনের ম্যাচগুলো খেলতে (ইংল্যান্ডে) যাই। আম্পায়ার আমাকে আগে একবার সতর্ক করতে পারতেন। কিন্তু এটা নিয়মে আছে। তাই তাদেরও এটা করার অধিকার ছিল। আমি অভিযোগ করিনি।’
সাকিব এরপর বলেন, ‘আমি পরীক্ষায় ব্যর্থ হই। এরপর পরীক্ষাপত্র দেখে ভেবেছি “ঠিক আছে, তাহলে এগুলো হচ্ছে। ’’ কিছু সপ্তাহ অনুশীলন করতে হতো তাই আবারও সারেতে ফিরে যাই এবং তারা আমাকে সাহায্য করেছে। দুটি সেশন শেষে সব ঠিক হয়ে গেল। তখন মনে হলো “আরে, এটা তো খুব সহজ।’’
সাকিব গত মৌসুমে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৩.২ ওভার বোলিং করেন—৩৩.৫ ওভার ও ২৯.৩ ওভার। সব মিলিয়ে তৃতীয়বার অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হন তিনি। লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে দুবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দেওয়ার মাঝে চেন্নাইয়ের পরীক্ষায় ব্যর্থ হন সাকিব। চেন্নাইয়ে অকৃতকার্য হওয়ার পর বিসিবির নির্বাচকেরা তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে রাখেননি। তবে বোর্ড তখন জানিয়েছিল, ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব সব ধরনের ঘরোয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবেন।
সাকিব এখন এমআই এমিরেটসের হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলছেন।
শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে গতকাল ৪ রানে জিতেছে তাঁর দল এমআই এমিরেটস। ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে এটা ছিল সাকিবের অভিষেক ম্যাচ। ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ১৬ রান করা সাকিবকে কৌশলগত কারণে ক্রিজ থেকে তুলে নেয় এমআই এমিরেটস। অর্থাৎ রিটায়ার্ড আউট হন সাকিব। সানজামুল ইসলামের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রিটায়ার্ড আউট হন সাকিব।