প্রকাশিত:
১ ঘন্টা আগে

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে নারী শিক্ষা, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার এবং ক্রীড়ায় বিশেষ অবদানের জন্য চার নারীকে এ বছরের রোকেয়া পদক প্রদান করা হবে। শ্রেষ্ঠত্বের এই তালিকায় রয়েছেন ড. রুভানা রাকিব (নারী শিক্ষা), কল্পনা আক্তার (শ্রম অধিকার আন্দোলন), ড. নাবিলা ইদ্রিস (মানবাধিকার) এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে নারী জাগরণে বিশেষ ভূমিকার জন্য ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা।
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের উজ্জ্বলতম তারকাদের একজন ঋতুপর্ণা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তার পারফরম্যান্স যেন বাংলাদেশের নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে। তার জোড়া গোলেই বাংলাদেশ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে। এর আগের বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও তার ধারাল খেলায় নেপালকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।
পরিবারিক বাধা, সামাজিক কুসংস্কার এবং পাহাড়ি অঞ্চলের প্রতিকূল বাস্তবতার ভেতর বড় হওয়া ঋতুপর্ণার সাফল্য এখন কেবল ফুটবল মাঠেই নয়, দেশের নারী ক্ষমতায়নের এক অনুপ্রেরণা। মাঠের বাইরেও তিনি নতুন প্রজন্মের মেয়েদের কাছে যেন সাহসের প্রতীক।
বেগম রোকেয়া দিবসে সাধারণত ক্রীড়া অঙ্গনের প্রতিনিধি খুব কমই পুরস্কৃত হন। তবে ব্যতিক্রম ঘটেছিল গেল বছর, যখন কিংবদন্তি দাবাড়ু রাণী হামিদ এ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এই সম্মানজনক পদক তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অবদান আগেও জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল পেয়েছিল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক। দলীয়ভাবে ক্রীড়াঙ্গনে এটি ছিল প্রথমবারের মতো এমন অর্জন।
ঋতুপর্ণার রোকেয়া পদকপ্রাপ্তি কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বাংলাদেশে নারী ফুটবলের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং নারী ক্ষমতায়নের আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।