info@weeklyinqilab.com|| 86-11 101 AVENUE, OZONE PARK, NY, 11416, USA
ব্রেকিং:

বাংলাদেশ

'প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যাখ্যা করল মন্ত্রণালয়'

Next.js logo

প্রকাশিত:

২ আগস্ট, ২০২৫

নিউজটি শেয়ার করুন:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Thumbnail for 'প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যাখ্যা করল মন্ত্রণালয়'

ফাইল ছবি | ইনকিলাব

আবু জাফরঃ 
বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শনিবার এ বিবৃতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্যই চালু রাখা হয়েছে, যাতে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’-এর একটি সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তি পরীক্ষার ব্যাপারে উত্থাপিত বক্তব্য সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে উত্থাপিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। আর কিন্ডারগার্টেনে অধিকাংশই তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসা। ফলে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ এসব দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক হবে।

এর আগে গত ২৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করে, সরকারি পরিপত্রের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করে।

এ রকম অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রাথমিক শিক্ষা আইন ১৯৯০ এবং সংবিধানের ১৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা বিনা খরচে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে প্রদান করা হয়। এসব বিদ্যালয় সকল শিশুর জন্য উন্মুক্ত। যারা কিন্ডারগার্টেনে সন্তানদের ভর্তি করান, তারা সেটি স্বেচ্ছায় করেন। ফলে এই পরীক্ষার বিষয়টি বৈষম্যমূলক নয়।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষায়’ অংশ নিতে পারে না, যেটি কিন্ডারগার্টেনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হয়। একইভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষাও শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
 

বিজ্ঞাপন কর্নার

আমাদের সম্পর্কে

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতিঃ শাহ নেওয়াজ

উপদেষ্টা সম্পাদকঃ পাভেল মাহমুদ

ইংরেজি পাতার সম্পাদকঃ ফুহাদ হোসেন

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ বদরুদ্দোজা সাগর

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোহাম্মদ জাহিদ আলম

স্টেশন ইনচার্জঃ মো: মিদুল ইসলাম মৃদুল

টেকনিক্যাল ইনচার্জঃ মো: রাশেদুজ্জামান রাজু

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন