এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
১০ আগস্ট, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
লাইভে নীলা বলেন, “আমি বারবার বলছি, যদি আমার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা বা অনুশোচনা প্রকাশ করা না হয়, তাহলে আমি তুষারের নগ্ন ভিডিওটি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে বাধ্য হবো।”
এর আগে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নীলা অভিযোগ করেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়াই ভর্তি ফরমে স্বামীর স্থানে সারোয়ার তুষারের নাম বসানো হয়। বিষয়টিকে তিনি জালিয়াতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে দাবি করেন।
নীলা লিখেন, “ওই দিন আমি হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। আমার নাম, পরিচয় কিংবা জীবনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। এই সুযোগে সারোয়ার তুষার নিজের নাম আমার স্বামীর ঘরে বসিয়ে দেয়, যা কোনো ভুল নয়, বরং আইনগতভাবে জালিয়াতি।”
তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুযায়ীও এটি অপরাধ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, নীলা ইসরাফিল জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার সনদের ৩, ৫, ১২ ও ২২ নম্বর ধারারও উল্লেখ করেন, যেখানে ব্যক্তির মর্যাদা, গোপনীয়তা এবং আইনি নিরাপত্তার অধিকার সুরক্ষিত।
তার ভাষায়, “আমার অনুমতি ছাড়া আমার পারিবারিক পরিচয় বিকৃত করা শুধু সামাজিক সম্মানকে আঘাত করে না, বরং এটি আমার মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই ভুয়া তথ্য ভবিষ্যতে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে।”
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা শুধু আমার লড়াই নয়, এটা প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়, মর্যাদা এবং অধিকারের জন্য লড়াই।”