এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৩ জুন, ২০২৫
অভিশংসনের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অপসারণের পর নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা। সামরিক আইন জারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর পার্লামেন্ট অভিশংসনের মাধ্যমে ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লি জে মিয়ংয়ের এক নির্বাচনী সমাবেশে তার সমর্থকদের একাংশকে দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশটির ১৪২৯৫টি কেন্দ্রে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক সাড়া মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাতে রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত ৮১ লাখ নাগরিক ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ১৮ শতাংশের একটু বেশি। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচন পূর্ব জরিপগুলোতে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী লি জে মিয়ং জনসমর্থনে এগিয়ে আছেন বলে দেখা গেছে। তার পরেই আছেন ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন সু, তিনি ক্ষমতা হারানো ইউনের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক সাড়া মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
ছয় মাস আগে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ইউন সামরিক আইন জারি করে দেশটিকে রাজনৈতিক সংকটে ডুবিয়ে দেন। তার সামরিক আইন জারির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর অভিশংসনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে দেশটির পার্লামেন্টে। তারপর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
ভোটারদের অনেকেই বিবিসিকে জানিয়েছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে স্থিতিশীলতা চান তারা।