এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
২ জুন, ২০২৫
খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ও করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কিছু নেই। ফলে এবারের বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে না।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, বর্তমানে যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে রয়েছে তা অতিমূল্যায়িত। সেগুলোর ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। অতীতের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো সেগুলো এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ শনিবার ঢাকার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি অয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্–বাজেট ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দের পরামর্শ দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এসব অর্থ জব্দ করে সেগুলো বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগের প্রবাহ এখনো আশানুরূপ নয়। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কিছু কাজের প্রশংসা করেছেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই (অন্তর্বর্তী) সরকারের অন্যতম সাফল্য হচ্ছে ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা। কারণ, বিদেশি ঋণের চাপ বছর বছর বিলিয়ন ডলার করে বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহিঃখাত, প্রবাসী আয়, রপ্তানি, দায়দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুত বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। বিগত সরকারের আমলে দেশে মাফিয়া অর্থনীতির শাসন ছিল। গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিকে চৌর্যবৃত্তির ওপর দাঁড় করানো হয়। তখন একশ্রেণির রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। ওই সময় প্রতিটি বাজেট ব্যবহার করা হয়েছিল লুটপাটের স্বার্থে। জাতিকে এখন সেই লুটপাটের বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
ভবিষ্যতে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে বলে জানান হাসান আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিগত সরকার আমাদের ঘাড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিবছর দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। আগামী দিনে এই ঋণ পরিশোধের হার আরও বাড়বে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে তাতে আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে বলে মনে করেন হাসান আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো না গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাজেটও নতুন মোড়কে পুরাতন গল্পই লেখা হবে।