এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট, ২০২৫
গতকাল শিক্ষার্থীরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসহ পার্শ্ববর্তী মেসের শিক্ষার্থীরা মিছিল করে নভোথিয়েটার ও ভোলা রোড–সংলগ্ন নির্মাণাধীন বিটেক ভবন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এই স্থাপনা দুটির কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং তা হস্তান্তর করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, উপাচার্য, ছয়টি অনুষদের ডিন, ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর প্রমুখ উপস্থিত আছেন। বিকেলের দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় আলোচনা চলছিল।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, প্রায় এক মাস ধরে অবকাঠামোগত সংকট, আয়তন বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবহনব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কেউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই ওই স্থাপনা দুটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তাঁরা। এখন থেকে এ স্থাপনা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, বিক্ষোভ কর্মসূচিসহ মহাসড়ক অবরোধ করে থাকলেও আমাদের দাবির বিষয়ে কেউ কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা স্থাপনা দুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭টি অনুষদে ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য কক্ষ আছে মাত্র ৩৬টি। কক্ষসংকটের কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকসংকটের কারণে অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট বাড়ছে।’