এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট, ২০২৫
ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলেও দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।
কথিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে বহু বছরের রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতায় জর্জরিত দক্ষিণ সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে।
গত মাসে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানডে সেমায়া কুমবার ইসরায়েল সফরের সময়ে এই সম্ভাব্য স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা হয় বলে ওই কর্মকর্তারা জানান।
কথিত এই আলোচনার খবর ছয়জন কর্মকর্তার বরাতে প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।
এসব দাবি যাচাই করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তাদের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া প্রদান করা হয়নি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে গাজায় সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে সংকট আরও ঘনীভূত করে তোলেন নেতানিয়াহু। এই সপ্তাহে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় ভূমি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।
তবে আরবসহ অন্যান্য বৈশ্বিক নেতা গাজাবাসীকে স্থানান্তরের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর ফিলিস্তিনিরা বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে তা হবে আরেকটা নাকবা।
ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) নির্বাহী পরিষদের সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, আমাদের দক্ষিণ সুদান বা অন্য কোথাও পাঠানোর যে কোনও পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ ও জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে। একই সুর পাওয়া গেছে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে। আর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল বলেন, দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে আলোচনায় গাজাবাসীর পুনর্বাসন প্রসঙ্গ ছিল না।
এদিকে, নেতানিয়াহু একাধিকবার বলেছেন, গাজা ছাড়তে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে পুনর্বাসনের জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ইসরায়েল। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে বরাবরই অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।