এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
গতকাল
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যারা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তাদের সরাসরি টেক্সট এবং ইমেইলের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে। এসব টেক্সট এবং ই-মেইল বার্তায় বলা হচ্ছে যে, তাদের দ্রুত দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। অন্যথায় জোরপূর্বক বহিষ্কার করা হবে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে, এই মাস (সেপ্টেম্বর) থেকেই ‘চ্যানেল অভিবাসীদের’ প্রথম দলটিকে ফেরত পাঠানো শুরু হবে। একইসঙ্গে সরকার শরণার্থীদের জন্য পারিবারিক পুনর্মিলন আবেদনের নতুন প্রক্রিয়াও স্থগিত করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে বিশেষ বিমানে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বার্তাগুলো সেইসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অন্য এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার যেকোনও অনুরোধ কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। যদি আপনি মানদণ্ড পূরণ করতে না পারেন, তাহলে কোনও সহায়তাই পাবেন না।
এছাড়াও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনার যুক্তরাজ্যে থাকার কোনও আইনি অধিকার না থাকে, তবে আপনাকে অবশ্যই এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। যদি না যান, আমরা আপনাকে অপসারণ করবো।’
যেসব বাবা-মা তাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়েছেন, তারা এখন সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে পড়তে ইচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার এখন বিকল্প হিসেবে কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কথা ভাবছেন।
এই জটিল পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের উদ্বেগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং দেশে ফিরে যাওয়ার ভয় তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে।