এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
গতকাল
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মনিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী সায়লা ফারজানা, শ্যালক রেজাউল আলম শাহীন, শ্যালিকা সাদিয়া, শাহিনের স্ত্রী সানজিদা খানম টুম্পা ও টুম্পার ভাই দেলোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া, কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ ও শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল নামের দুটি এনজিও’র অনুদান দেখিয়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে যে মনিরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সায়লা ফারজানা বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থউপার্জন করে সেই টাকা মনিরুলের শ্যালক রেজাউল আলম শাহীন, এস এস এন্টারপ্রাইজ, তানভীর ডেইরি ফার্মসহ বিভিন্ন নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ এবং মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
স্ত্রী সায়লা ফারজানা ও শ্যালকে নামে ৫০টি ফ্ল্যাট
বাংলাদেশপুলিশের সাবেক এসবি-প্রধান মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সায়লা ফারজানা। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব। তার ঢাকা ব্যাংক পিএলসির বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় ২০২৪ সালে দুই দফায় তার ভাইয়ের কমার্শিয়াল ব্যাংকের হিসাব থেকে ১৫ লাখ ও ২০ লাখ টাকা জমা হয়।
এছাড়াঅভিযোগ রয়েছে যে মনিরুল ইসলাম রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরায় ৫০টির বেশি ফ্ল্যাট কিনেছেন, যা তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামে রয়েছে।
শ্যালকের স্ত্রী টুম্পার ব্যাংক হিসাবে ১১.৭০ কোটি টাকা জমা
মনিরুলইসলামের শ্যালকের স্ত্রী সানজিদা খানম টুম্পা। তার নামে ২০২০ সালে কমিউনিটি ব্যাংক পিএলসির হিসাবে ১১.৭০ কোটি টাকা জমা হয় এবং প্রায় সমপরিমাণ টাকা উত্তোলনও করা হয়। অনুসন্ধানে একজন গৃহিণীর হিসাবে স্বল্প সময়ে ২৩.৫০ লাখ টাকার চারটি ডিপিএস এবং ৬.২১ কোটি টাকার তিনটি এফডিআর থাকা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে।
সানজিদাখানম টুম্পার বিভিন্ন লেনদেনের মধ্যে রয়েছে—তার নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের মিরপুর শাখায় পরিচালিত হিসাবে ২০২০ সালের জুন মাসে ১.১৫ কোটি টাকা জমা হয়। এই অর্থ তার স্বামীর মালিকানাধীন এস এস এন্টারপ্রাইজের নামেপরিচালিত কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের হিসাব থেকে এসেছে। ওই বছরের ২৮ জুন টুম্পার নামে পরিচালিত কমিউনিটি ব্যাংকের হিসাবে ছয়টি লেনদেনের মাধ্যমে ১.৩৬ কোটি টাকা স্থানান্তরের তথ্যও পাওয়া গেছে।
এছাড়া, একই মাসে কমিউনিটি ব্যাংকে টুম্পার হিসাবে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সায়লা ফারজানার বোন সাদিয়া আহম্মেদের হিসাব থেকে ৫৭ লাখ টাকা জমা হয়। ওই টাকাসহ টুম্পার নামে কমিউনিটি ব্যাংকে দুই কোটি টাকা স্থায়ীভাবে জমা হয়। এরপর ২০২২ সালে টুম্পার নামের ওই হিসাবে ঢাকা ব্যাংক থেকে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, শাহিনের বোন সাদিয়ার হিসাব থেকে ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং তার সাউথইস্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে ৬৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা জমা হয়। সব অর্থ উত্তোলন করে দুই কোটি টাকার এফডিআর করা হয়।