এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
গতকাল
২৪ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, রাজধানী নয়াদিল্লির লুটিয়েনস এলাকার একটি বাড়িতে গত দুই মাস ধরে বসবাস করছেন শেখ হাসিনা। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার। দেশটির মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাংলোর মতোই একটি বাংলোতে বসবাস করছেন হাসিনা। যদিও তার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি।
ব্রিটিশ স্থপতি এডউইন লুটিয়েনসের নামানুসারে লুটিয়েনস দিল্লির নামকরণ করা হয়েছে। প্রায় ২৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ এলাকাটি সম্পূর্ণ আবাসিক ও সুরক্ষিত। ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য তাৎপর্যের জন্য পরিচিত সরকারি মালিকানাধীন অঞ্চলটি নয়াদিল্লির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল অঞ্চল, যেখানে প্রায় ১ হাজার বাংলো রয়েছে। লুটিয়েনস দিল্লিতে অনেক সাবেক এবং বর্তমান ভারতীয় সংসদ সদস্যের বাড়ি রয়েছে।
সূত্রের বরাতে প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ সুরক্ষা প্রটোকল মেনে শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে লোধি গার্ডেনে হাঁটেন। তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই কঠোর। তবে সাদা পোশাকে তারা তাকে সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছেন।
এর আগে পদত্যাগের দিন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে একটি সামরিক বিমানে করে ভারতের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া
হয়। সেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তবে দু’দিনের মধ্যেই তিনি বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেন। কেননা সেখানে শেখ হাসিনার থাকা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই কয়েক দিনের মধ্যে তাকে একটি নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। পরে দিল্লির লুটিয়েনসে নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চলে একটি বাড়ির জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়।