এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
গতকাল
বিশেষ করে বহু নারী তাঁর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী নারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই অভিযোগকারীদের খুঁজছে জানিয়ে গতকাল সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আফ্রিদির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। এখনো তাঁর অপকর্মের তদন্ত চলছে।
সিআইডি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও আফ্রিদি অনেক অপ্রত্যাশিত আচরণ করেন জানিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদকারী সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, সিআইডি হেফাজতে থাকাকালে গভীর রাতে তৌহিদ আফ্রিদির আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। রাতে অনেকটা নির্ঘুম থাকতেন তিনি।
কারাগারে পাঠানোর আগ পর্যন্ত তাঁর এমন অনেক আচরণ ছিল জানিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদকারী এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, আফ্রিদি এখন ভোরের দিকে ঘুমানোর সময় আগের অপকর্মের স্বপ্ন দেখেন।
সিআইডি সূত্র বলছে, আফ্রিদির বিরুদ্ধে তাঁর একসময়ের বহু কনটেন্ট ক্রিয়েটর ফেসবুকে অনেক অভিযোগ করছে। এদের একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নাম সায়েম। তিনি একটি ভিডিও বার্তায় আফ্রিদিকে নিয়ে আড়াই বছর আগের ঘটনা ফাঁস করেছেন। সায়েম তাঁর পেজে ১২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন। তাঁর এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজছেন সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ওই ভিডিওতে সায়েম বলেন, আড়াই বছর আগে তৌহিদ আফ্রিদিকে নিয়ে তিনি একটি ভিডিও বানান। ওই ভিডিওতে তিনি কিছু সত্য তুলে ধরেন। কিন্তু তা দেখে তৌহিদ আফ্রিদি মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে সায়েমকে ডিবি অফিসে নিয়ে মুচলেকা দিয়ে লিখিত কাগজ জমা দিতে হয়। সেই মুচলেকায় তাঁকে বাধ্য করা হয়, যেন আর কখনো এ রকম ভিডিও তিনি না বানান।
সায়েম দাবি করেন, ডিবি অফিসে যাওয়ার পর তাঁর হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সিআইডি বলছে, আফ্রিদির আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কনটেন্ট ক্রিয়েটর তানভীর রাহীর সঙ্গেও তারা যোগাযোগের চেষ্টা করছে। রাহী দাবি করেন, তিনিসহ দেশের অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছে।
সিআইডি বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকেই আফ্রিদির বিরোধিতা করেছিল। তাদের অনেককে মারধর করেন আফ্রিদি। এভাবে বিভিন্ন সময় তৌহিদ আফ্রিদি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে ফোন করাতেন। সিআইডি এই বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করছে।