এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কয়েক হাজার তরুণ বিক্ষোভে যোগ দেয়। ‘জেন জি’ নেতৃত্বাধীন এই বিক্ষোভকারীরা সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি ভাঙচুর করে এবং পার্লামেন্ট ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃত্বি সুব্বা গুরুঙের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়, উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পোড়েলের বাসভবনে ইটপাটকেল ছোড়ে। এছাড়া নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পোড়েল এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও হামলা চালায়।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীরা লাথি মেরে আঘাত করছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু রানা দেওবা এবং তার স্বামী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস প্রধান শেরবাহাদুর দেওবার বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে জনতা। সেখানে শেরবাহাদুর দেওবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে বসে থাকতে দেখা যায়। পরে সেনারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে মন্ত্রী ও তাদের পরিবারকে উদ্ধার করা হচ্ছে। উদ্ধার ঝুলিতে ঝুলে থাকা অবস্থায় তাদের উড়তে দেখা যায় কাঠমান্ডুর একটি হোটেলের ওপর দিয়ে। একই সময়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে থাকে।
কারাগারের ভেতরও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। বন্দিরা কারাগারের ভবনে আগুন লাগায় এবং প্রধান ফটক ভেঙে বাইরে আসার চেষ্টা করে। তবে সেনারা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং বন্দিদের অন্য কারাগারে সরিয়ে নেয়।
এই সহিংসতার সূচনা হয় সরকারের সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার পর। ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া হয়, কারণ সরকার দাবি করে এসব প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন ও সরকারি তদারকিতে আসতে রাজি হয়নি।
এই সিদ্ধান্তের পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তরুণরা অভিযোগ করে, রাজনৈতিক নেতাদের সন্তানরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে অথচ সাধারণ তরুণরা চাকরি খুঁজে পাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছর নেপালে যুব বেকারত্ব ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। সরকারের হিসাবে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি তরুণ কাজের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্য বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পাড়ি জমাচ্ছে।
বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিলে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে চলে যান। সেনারা এখন রাজধানীতে টহল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।