এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অস্কার, বাফটা, এমি, পাম দ’অরসহ নানা আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি। পরিচালক ইয়র্গোস ল্যান্থিমোস, আভা ডুভার্নে, অ্যাডাম ম্যাককে, বুটস রিলে, এমা সেলিগম্যান, যশুয়া ওপেনহাইমার, মাইক লেইসহ অনেক নামজাদা নির্মাতা রয়েছেন এতে।
অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন এমা স্টোন, অলিভিয়া কোলম্যান, আয়ো এডিবেরি, লিলি গ্ল্যাডস্টোন, মার্ক রাফেলো, রিজ আহমেদ, সিনথিয়া নিক্সন, টিল্ডা সুইনটন, জেভিয়ের বারডেম, জো অ্যালউইন, জশ ও’কনরসহ আরও অনেকে।
সোমবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানান, এখন থেকে ইসরায়েলে নির্মিত বা প্রযোজিত কোনো চলচ্চিত্রে অংশ নেবেন না তারা। এমনকি দেশটির আয়োজিত কোনো চলচ্চিত্র উৎসবেও অংশগ্রহণ করবেন না। কিংবা এমন কোনো উৎসব, সিনেমা হল, সম্প্রচার সংস্থা বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হব না— যেগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও বর্ণবাদের সঙ্গে জড়িত।’
তবে এতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এটি ইসরায়েলি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নয়; বরং ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই লক্ষ্য করে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে জেরুজালেম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, হাইফা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ডোকাভিভ বা তেলআবিব ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং টিএলভি ফেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে দেখা যাবে না এসব শিল্পীদের। থাকবে না তাদের নির্মিত কিংবা অভিনীত কোনো সিনেমা।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিল্পীদের এই সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ এমন এক সময় এলো, যখন গাজায় যুদ্ধের কারণে কয়েক লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, হাজারো শিশু অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে। বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের পদক্ষেপকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন; আন্তর্জাতিক বিচার আদালতও একই মত দিয়েছে।
এই ঘোষণার পেছনে থাকা কারণ ব্যাখ্যা করে ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেত্রী হান্না আইনবাইন্ডার বলেন, ‘দুই বছর ধরে গাজায় যা ঘটছে তা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। একজন ইহুদি আমেরিকান হিসেবে আমি মনে করি এই গণহত্যা বন্ধ করতে আমাদের সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনীতিবিদরা যখন ব্যর্থ তখন শিল্পীদেরই সামনে এসে অবস্থান নিতে হবে।’
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো যখন এই সহিংসতায় নীরব সমর্থন জানাচ্ছে তখন শিল্পীরা নিরপেক্ষ থাকতে পারেন না। মানুষের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।